খুলনা | বুধবার | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১

তৈরি পোশাক খাতে সংকটের ধ্বনি

|
১২:০৮ এ.এম | ১৯ নভেম্বর ২০২৩


হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও নৈরাজ্যে দেশের সম্ভাবনাময় পোশাক খাত নতুন করে হুমকিতে পড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ এবং গাজীপুরে গত কয়েক দিন ধরে শ্রমিকদের আন্দোলন, ভাঙচুর, সড়ক অবরোধে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এক দিনের হরতাল, অবরোধে দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক ক্ষতি প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। এর সিংহভাগই বহন করতে হচ্ছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পকে। এই পরিস্থিতি ব্যবসার বাঁধা আরো বাড়িয়ে দেবে এবং অর্থনীতিকে আরো পিছিয়ে দেবে। আমাদের অর্থনীতির আকার আগের তুলনায় অনেক বড় হয়েছে। সে কারণে এটা বলা যায়, চলমান হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বড় হবে। এখন নতুন করে সংকটে পড়তে পারে এ খাত। বিনিয়োগ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে ভৌগোলিকভাবে কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার কারণে বাংলাদেশও বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অন্যতম আদর্শ গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অনেক চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে গত কয়েক দশকের পথপরিক্রমায় দেশের তৈরি পোশাকশিল্প আজকের এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অনেক প্রতিক‚লতা এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প এগিয়ে যাচ্ছে অগ্রগতির পথে। দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করতে পোশাকশিল্পের কোনো বিকল্প নেই। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদেশ থেকে যে রেমিট্যান্স আসছে তার অন্যতম খাত হলো গার্মেন্টস শিল্প। প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক অর্থ আয় করছে। যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে সে দেশের শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের আন্তরিক ও বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন। প্রয়োজন রাজনীতিক সহাবস্থান এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা জরুরি।