খুলনা | বুধবার | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
১১:০১ পি.এম | ১৯ নভেম্বর ২০২৩


১১টি ম্যাচ, ৭৬৫ রান, ৯৫.৬২ গড়, ৯০.৩১ স্ট্রাইক রেট। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফসেঞ্চুরি ৬টি। ২০২৩ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির পরিসংখ্যান। তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যে বিশ্বকাপের এক আসরে সাতশ’র বেশি রান করলেন। ২০০৩ সালে ১৬ বছরের তরুণ কোহলি হয়তো টেলিভিশনে দেখেছিলেন নিজের আদর্শ ব্যাটসম্যানের এক আসরে ৬৭৩ রান করার কীর্তি। ভারতের আর দশটা তরুণের মতো কোহলিও যে ক্রিকেট ঈশ্বর শচিন টেন্ডুলকারকেই নিজের আদর্শ মেনে বড় হয়েছেন।

এক যুগ পর বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত। টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনাল। যার শেষটা হয়েছে হতাশার। আরও একবার এ ভাবেই মনে রাখা হবে, ‘ফাইনালে উঠেছিল ভারত।’ অতি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সাফল্য মিলছিল ম্যান ইন ব্লুদের, সেই ব্যাটিংই ফাইনালে ফ্লপ। ৬ উইকেটের জয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এদিকে দল হারলেও পুরো বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থেকে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি।  

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি। ১১ ম্যাচে ৯৫.৬৩ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭৬৫ রান। এর মধ্যে ৬টি হাফ সেঞ্চুরি ও তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ বলে ১১৭ রান করে ভারতকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ফাইনালে ৬৩ বলে ৫৪ রান করেছেন তিনি।

আহমেদাবাদে বিশ্বমঞ্চের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে প্রথমেই টস ভাগ্যে হেরে যায় ভারত। তবে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উড়ন্ত সূচনা পায় স্বাগতিকরা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে অধিনায়ক রোহিত শর্মার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকে ম্যান ইন ব্লুরা। পাওয়ার প্লের শেষে ওভারে রোহিত শর্মা ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরে গেলে রানের চাকা থমকে যায় স্বাগতিকদের। প্রথম দশ ওভারে মোট ১২টি বাউন্ডারি হাকায় ভারত। এরপর ১১তম ওভার থেকে ৯৭ বল পর্যন্ত একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি কোহলি-রাহুল জুটি।

মূলত সেখানেই রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয় ভারত। তার মধ্যে প্রতি ওভারে দুইটির উপর ডট বল খেলছিল এই জুটি। নিজের অর্ধশতক পূরণের পর বিরাট কোহলি ফিরে গেলে আরো বিপাকে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার অন্যতম কারণ প্রথম দশ ওভার পর ১১-৫০ ওভারে মাত্র ৪টি বাউন্ডারি ও তাদের ইনিংস জুড়ে ১৩০+ ডট বল।

অজি বোলাররা নিয়মিত ডট বল দিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের উপর চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছিল। যার পুরস্কার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের মঞ্চে রোহিতদের ২৪০ রানে থামাতে সক্ষম হয়। ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার অন্যতম কারণ প্রথম দশ ওভার পর ১১-৫০ ওভারে মাত্র ৪টি বাউন্ডারি ও তাদের ১৩০+ ডট বল। এখানেই বড় রান করতে ব্যর্থ হয় তারা।

ছোট সংগ্রহে এক ইনিংস পরই এক প্রকার ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। অপরদিকে বোলিংয়ে ৪৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েও মিডেল ওভারে বোলারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হাতছাড়া হয় ভারতের। ঘরের মাঠে এক যুগ পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হারাল কোহলি-রোহিতরা। আর তাতেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া।