খুলনা | সোমবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬ পৌষ ১৪৩১

এবার শ্রীলঙ্কা থেকে যুব বিশ্বকাপ সরিয়ে নিল আইসিসি

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৪:২১ পি.এম | ২১ নভেম্বর ২০২৩


শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না। সবার আগে বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় ভারত ছেড়ে নিজ দেশে পৌঁছানোর পর থেকেই লঙ্কানরা পাচ্ছে একের পর এক দুঃসংবাদ। তবে বিষাদময় বিশ্বকাপ কাটানোর পর যে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে ১৯৯৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা তা কখনো ভাবতে পারেনি তারা। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি শ্রীলঙ্কার সদস্যপদ স্থগিত করেছে। নিষেধাজ্ঞার পর আসন্ন ২০২৪ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক থেকেও শ্রীলঙ্কার নাম সরিয়ে নিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেখান থেকে সরিয়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আইসিসির এক জরুরি সভায় আজ (মঙ্গলবার) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত রোববার ভারতের আহমেদাবাদে পর্দা নেমেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের। সেখানে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের ভেন্যুতে এবার আইসিসির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, লঙ্কান ক্রিকেট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আগেই শোনা গিয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। এর আগে ১০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে সাময়িক সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তাদের সদস্য পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকের বৈঠকেও বহাল রাখা হয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞা। সহসাই লঙ্কানরা সদস্য ফিরে পাচ্ছে না বলেই সেখান থেকে আসন্ন বিশ্বকাপও সরিয়ে নেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত।

এক সূত্রের বরাতে ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ‘সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে নিষেধাজ্ঞা এখনই উঠিয়ে নেওয়া হবে না। ফলে দেশটিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্রিকেট চালু থাকবে।’ আইসিসির এই সভায় অংশগ্রহণ করেছে সাম্প্রতিক সময়ে লঙ্কান বোর্ডের (এসএলসি) সভাপতি পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শাম্মি সিলভা।

পূর্বানির্ধারিত সূচি অনুযায়ী– অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়ার কথা রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০। যার সূচি রয়েছে ১০ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের (সিএসএ) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুটি টুর্নামেন্টই একই সময়ে আয়োজন করা যেতে পারে। টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটি স্বাধীনভাবে আয়োজনের সুযোগ রয়েছে সিএসএ’র স্বায়ত্তশাসিত কমিটির।